টেস্ট অভিষেকেই ৩১৪ রান!
এমন অভিষেক আর কারোরই হয়নি। টেস্ট ক্রিকেটের সুদীর্ঘ ইতিহাসে তাই লরোন
রোয়ে আলাদা একটা জায়গা নিয়েই আছেন। দারুণ পারফরম্যান্সে টেস্ট অভিষেক
স্মরণীয় করে রাখার নজির একাধিক থাকলেও অভিষেকে রোয়ে যা করেছেন তা এক
কথায় অনন্যই। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে জ্যামাইকার কিংস্টোনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে
অভিষেক ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছিলেন রোয়ে। ২১৪ রানের অনবদ্য
ইনিংস খেলে এমনিতেই তিনি নাম লিখিয়েছিলেন ইতিহাসে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে
আরও একটি সেঞ্চুরি করে (অপরাজিত ১০০) তিনি চলে গেছেন অন্য উচ্চতাতেই। গত
৪৪ বছরেও রোয়ের এই অসাধারণ রেকর্ডটির ধারেকাছেও যেতে পারেননি কোনো
ব্যাটসম্যান।
অভিষেক ইনিংসের পারফরম্যান্সে রোয়ের কাছে যেতে না পারলেও
তাঁর নামের সঙ্গে কিন্তু উচ্চারিত হয় আরও একটি নাম। তিনি ইয়াসির হামিদ।
পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যানও কিন্তু অভিষেক টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরির
গৌরবে গৌরবান্বিত। ২০০৩ সালে করাচিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইয়াসিরের ব্যাট
থেকে এসেছিল অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে ১৭০ আর
দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৫ রানের দুটি ইনিংসে অভিষেকটা দুর্দান্ত করলেও লরেন্স
রোয়ের ৩১৪ রানের চেয়ে বেশ দূরেই ছিলেন ইয়াসির।
অভিষেকেই ৩১৪ রান করে
হই হই ফেলে দেওয়া লরেন্স রোয়ের টেস্ট ক্যারিয়ারটা কিন্তু মোটেও
দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র ৩০ টেস্টেই থমকে যাওয়া ক্যারিয়ারে তাঁর
সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি—উভয়ই সাতটি করে। ৪৩.৫৫ গড়টাও কিন্তু দুর্দান্ত।
একটি ট্রিপল সেঞ্চুরিও (৩০৫) শোভা পাচ্ছে তাঁর ক্যারিয়ার রেকর্ডে। কিন্তু
৩০টির বেশি টেস্ট তিনি কেন খেলতে পারেননি, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে
মিলল দুঃখ পাওয়ার মতোই এক তথ্য। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট ইতিহাসের
অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান এই ব্যাটসম্যানকে ক্যারিয়ার ছোট করে ফেলতে হয়েছিল
চোখের সমস্যার কারণেই।
No comments:
Post a Comment